শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
নাটোর (গুরুদাসপুর) থেকে মেহেদী হাসান তানিমঃ সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ কারেন্ট ও বাদাই জাল দিয়ে অবাধে চলছে মাছ শিকার।
বর্ষাকাল হলো মৎস্য ভাণ্ডারখ্যাত চলনবিলে মাছের প্রজননকাল। ১৯৫০ সালের মৎস্য আইন অনুযায়ী, ডিম এবং মা মাছগুলো শিকার আইনগত-ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি অধিক মুনাফার উদ্দেশ্যে সন্ধ্যা বা সামান্য রাত হলেই নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকারে মেতে ওঠে । রাতভর ডিম ও পোনা মাছ শিকারের পর হাটে-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করলেও দেখার কেউ নেই।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত খুবজীপুর ইউনিয়নের পিপলা, উত্তরপাড়া, বামনবাড়িয়া, বিলসা, রুহাই এলাকায় নিষিদ্ধ বাদাই জাল, কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন জাল দিয়ে দিয়ে মা মাছ ও পোনা মাছ নিধনযজ্ঞে মেতে উঠেছে একশ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারিরা।
স্থানীয়রা জানায়, কেউ আইনের তোয়াক্কা করছে না। সন্ধ্যা-সকাল পর্যন্ত চলে মাছ শিকার। এরপর প্রকাশ্যে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয় এই পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ। এর ফলে আগামী দিনে মাছ উৎপাদনে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, বাদাই ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ না ধরার জন্য এলাকায় মাইকিংসহ বিভিন্ন ধরনের প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়েছে। কিন্তু অসাধু ব্যক্তিরা আইন না মেনে রাতের আধারে মাছ শিকার করছেন।খুব শীঘ্রই নিষেধাজ্ঞা অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply